দখিনের খবর ডেস্ক ॥ দ্বিতীয় জানাজা শেষে শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় নিজের চিরচেনা অঙ্গন সুপ্রিম কোর্ট থেকে বিদায় নিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে লাশ কুমিল্লার বুড়িচং নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন খসরুকে ‘রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, স্পিকার, আইন মন্ত্রণালয়, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, আওয়ামী লীগের পক্ষে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, আবদুল মতিন খসরু অ্যাসোসিয়েটসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে আবদুল মতিন খসরুর কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বাদ জোহর, এরপর ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদর, উপজেলার মিরপুরে বাদ আসর তার শেষ জানাজা হবে। জানাজা শেষে পৈত্রিক বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন হওয়ার কথা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত জানাজায় উপস্থিত ছিলেন- প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। জানাজা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি আবদুল মতিন খসরুর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। জানাজায় আবদুল মতিন খসরুর একমাত্র ছেলে আবদুল মোনেম ওয়াসিফ তার বাবা জন্য সকলের দোয়া কামনা করেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর বকশী বাজার আলিয় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আবদুল মতিন খসরুর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গত বুধবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পাঁচ বারের সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু। করোনো আক্রান্ত হয়ে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। ১২ মার্চের নির্বাচনে আবদুল মতিন খসরু সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর করোনা আক্রান্ত হন তিনি। সিএমএইচে থাকা অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল মতিন খসরুর নেতৃত্বাধীন নতুন কমিটি দায়িত্ব বুঝে নেয়। ওই দিনই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে আবদুল মতিন খসরুর নাম ফলক টাঙানো হয়। সেই কক্ষে তিনি বসারও সুযোগ পাননি।
Leave a Reply